পাসপোর্ট রিইস্যুর ক্ষেত্রে যে সকল প্রশ্ন আমরা দূতাবাসকে করে থাকি
Q1: আমার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ বা শেষ পর্যায়ে। আমাকে নতুন পাসপোর্ট পেতে হলে কি করতে হবে?
আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি এমআরপি বা ডিজিটাল পাসপোর্ট হলে, নতুন পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য আপনাকে রি-ইস্যু অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। প্রথমেই আপনাকে নিচে প্রদত্ত লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে রি-ইস্যু ফরম ডাউনলোড করতে হবেঃhttp://www.passport.gov.bd/Reports/MRP_Information_Alteration_Correction.pdfএই ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার জন্য নিচের লিঙ্কে প্রদত্ত নমুনা ফরম টি দেখে নিনঃ
ফর্ম পূরণের পরে ফর্মের সাথে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টসমূহ সংযুক্ত করুনঃ
ক) আপনার বর্তমান পাসপোর্ট এর ২ ও ৩ নং পৃষ্ঠার ফটোকপি
খ) আপনার পাসপোর্টে ইনফর্মেশন পেজ বা ২ নং পাতায় উল্লিখিত ব্যক্তিগত নং/পার্সোনাল নাম্বার হিসেবে যে জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার রয়েছে সেই ডকুমেন্টের (উভয় পার্শ্ব এক পৃষ্ঠায়) ফটোকপি সংযুক্ত করুন।
গ) জাপানিজ রেসিডেন্স কার্ড বা জাইরু কার্ডের ফটোকপি।
ঘ) আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি (উভয় পার্শ্ব এক পৃষ্ঠায়); স্টুডেন্ট হলে ৬,০০০ (6,000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত অন্য সকলের ক্ষেত্রে ১৮,০০০ (18,000) ফুরিকমি করুন। অতঃপর ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট-এর একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন।
ঙ) আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পোস্ট কোডসহ পুরো ঠিকানা, বাসা কিংবা কর্মক্ষেত্রের টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি একটি সাদা কাগজে প্রিন্ট আকারে অথবা পরিষ্কার অক্ষরে লিখে জমা দিন। এই কাগজের নিচে আপনার স্বাক্ষর প্রদান করুন।
চ) আপনার মূল পাসপোর্টঃ মনে রাখবেন, যারা ডাকযোগে নতুন পাসপোর্ট পেতে চান তাদের পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট-এর জন্য মূল পাসপোর্ট জমাদান বাধ্যতামূলক; এবং আপনার এই পাসপোর্টটি নতুন পাসপোর্ট আসা পর্যন্ত দূতাবাসের কাছে জমা থাকবে। নতুন পাসপোর্ট আসার পরে আপনার পুরাতন পাসপোর্টটি যথাযথ নিয়মে বাতিল সিল প্রদান পূর্বক নতুন এবং পুরাতন দুটো পাসপোর্টই একসাথে ফেরত পাঠানো হবে।
** যারা দূতাবাসে এসে তাদের নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন, তাদের পাসপোর্ট দূতাবাসে জমা রাখা হবে না। নতুন পাসপোর্ট যখন নিতে আসবেন, তখন পুরাতন পাসপোর্ট এবং ডেলিভারি স্লিপ সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আমরা আপনার নতুন পাসপোর্টটি ইস্যু করব এবং পুরাতন পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করে একসাথে আপনাকে দেয়া হবে। ** আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি যদি কোন কারণে হারিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে রিপোর্টের তারিখ, নম্বর ও পুলিশ স্টেশনের নামসহ মূল পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করুন। বাধ্যতামূলক ব্যক্তিগত ইন্টারভিউ-এর জন্য দূতাবাসে সরাসরি আসুন এবং হারানোর যাবতীয় বৃত্তান্ত লিখে স্বাক্ষরসহ জমা দিন। সকল কাগজপত্র অবশ্যই A4 সাইজ কাগজে জমা দিন। কোন দলিল (যেমন, বিয়ের সনদ বা হলফনামা ইত্যাদি) যদি আকারের বড় হয় সেক্ষেত্রে percentage কমিয়ে A4 সাইজ কাগজে ফটোকপি করে জমা দিন। সকল কাগজপত্র পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে।
Q2: আমি ডাকযোগে আমার পাসপোর্টের আবেদন পাঠাতে বা ফেরত পেতে পারবো কিনা?
ডাকযোগে আপনার আবেদন দূতাবাসে পাঠাতে চাইলে, আবেদন পত্রের সাথে একটি ফিরতি খাম লেটার প্যাক সংযুক্ত করতে হবে যা আপনি আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিস অথবা ফ্যামিলি মার্ট বা সেভেন এলেভেন থেকে ক্রয় করতে পারবেন। নমুনা খামের একটি ছবি নিচের লিংকে সংযুক্ত করা হলোঃ
এটি একটি লাল বর্ডার যুক্ত এলপি লেটার প্যাক যার মুল্য 600 ইয়েন। উক্ত খামের উপর আপনার পোস্ট কোড সহ পূর্ণ ঠিকানা, নাম ও ফোন নাম্বার লিখে নিন। লেটার প্যাকটি পাঠানোর পূর্বে লেটার প্যাকের উপরের পৃষ্ঠার একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন এবং এই লেটার প্যাক এর উপরে একটি ট্রাকিং নাম্বার দেয়া আছে যা দিয়ে আপনি সহজেই জানতে পারবেন আপনার লেটার প্যাকটি দূতাবাসে পৌঁছেছে কিনা আপনার প্রেরিত লেটার প্যাকটি বর্তমানে কোথায় আছে তা ট্র্যাকিং করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ https://www.post.japanpost.jp/index_en.html ডাকযোগে প্রেরণের ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সমূহের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হলে দূতাবাস দায়ী থাকবেনা মর্মে আপনার স্বাক্ষর সহ একটি সাদা কাগজে আবেদন সংযুক্ত করুন। মনে রাখবেন, একটি লেটার প্যাক এ সর্বোচ্চ ২ জনের পাসপোর্ট পাঠানো যায়; তাই আবেদনকারীর সংখ্যা দুই জনের বেশি হলে একাধিক (প্রয়োজনমতো) লেটার প্যাক সংযুক্ত করুন।
Q3: ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি কোথায়, কত ইয়েন এবং কিভাবে করব?
Account Name |
Embassy of Bangladesh Tokyo Consular |
Bank Name |
Mitsubishi UFJ Bank (MUFJ) |
Branch Name |
Kojimachi(Code: 616) |
Type of account |
Ordinary Bank Account (Futsuu) |
Account No. |
0393471 |
উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা দানের পর টাকা জমা দেয়ার ডিপোজিট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন এবং একটি ফটোকপি আপনি নিজের কাছে রেখে দিন। একই সাথে, আপনার পাসবুক আপডেট বা হালনাগাদ করুন এবং দূতাবাসে স্বশরীরে আসার সময় পাস বইটিও সঙ্গে নিয়ে আসুন। আপনি যদি স্টুডেন্ট হন (বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনিস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি জমাদান সাপেক্ষে) ৬,০০০ (6000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত সকলের ক্ষেত্রে ১৮,০০০ (18,000) বা ফুরিকমি করুন। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকলে এবং জাপানে সাময়িক সময়ের জন্য পিএইচডি/মাস্টার্স/উচ্চশিক্ষা/প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আসলে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ১৮,০০০ ইয়েন প্রদান করতে হবে।
Q4: আবেদনে ছবির সাইজ কেমন হবে এবং ছবির পিছনে স্বাক্ষর বা সত্যায়িত করা লাগবে কিনা?
রি-ইস্যু আবেদনের সময় ছবির সুনির্দিষ্ট কোন সাইজ প্রয়োজন নেই; তবে পাসপোর্ট সাইজের অর্থাৎ ৩০*৪০ mm অথবা ৩৫*৪৫ mm সাইজের ছবি হলে ভালো হয়। ছবির পিছনে স্বাক্ষর অথবা সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
Q5: বর্তমান পাসপোর্টটি করার সময় যে জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করেছিলাম সেটি আমার সাথে নেই অথবা খুঁজে পাচ্ছিনা, এখন আমি কি করব?
বর্তমান পাসপোর্টে যে ব্যক্তিগত নং বা পার্সোনাল নাম্বার দেয়া আছে তার স্বপক্ষের ডকুমেন্টটি আমাদের প্রয়োজন, তাই অনুগ্রহ করে দেশে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পরিচয় পত্রের কপি বা অনুলিপি সংগ্রহ করুন। সেই ডকুমেন্টটি যদি বাংলাদেশ থেকে ইস্যু করে থাকেন সে ক্ষেত্রে দূতাবাসের পক্ষে কিছু করার নেই। এসকল ক্ষেত্রে দেশে আপনার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দপ্তরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আর আপনার ব্যক্তিগত নং হিসেবে ব্যবহৃত নম্বরটি যদি জাপান দূতাবাস কর্তৃক ইস্যুকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে দূতাবাসে যোগাযোগ করে নতুন করে তা সংগ্রহ করা যাবে। সেক্ষেত্রে, আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ২৫০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব। সেক্ষেত্রে, আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা লিখে দিন।
Q6: আমার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড আছে, সেক্ষেত্রে কি আমাকে স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট (Student Enrolment Certificate) দিতে হবে?
জি হ্যাঁ। স্টুডেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট (Student Enrolment Certificate) জমা দিতে হবে এই স্টুডেন্ট সার্টিফিকেটটি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত হতে হবে। প্রি-স্কুল/কিন্ডারগার্টেন/চাইল্ড কেয়ার কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট আপনার স্টুডেন্ট এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না; এসকল ক্ষেত্রে আপনাকে ১৮,০০০ ইয়েন দিতে হবে।
Q7: আমি নতুন বিবাহ করেছি; তাই আমার পাসপোর্টে আমার ম্যারিটাল স্ট্যাটাস এবং স্বামী/স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করতে চাই, এক্ষেত্রে আমাকে কি করতে হবে?
আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি জাপানে থাকেন তাহলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট, সিটি অফিস থেকে ইস্যুকৃত জুমিন ইয়ো, স্বামী বা স্ত্রীর পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জাইরো কার্ড এর কপি দিতে হবে। আর আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি জাপানে না থাকে, তাহলে আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে নিয়ে আসতে হবে এবং স্বামী বা স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র/ভোটার আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
Q8: আমার ডিভোর্স বা তালাক সংক্রান্ত কারণে স্বামী বা স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করতে চাই অথবা ম্যারিটাল স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে চাই। এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়?
আপনার বিবাহ জাপানে হয়ে থাকলে সিটি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিভোর্স সার্টিফিকেট প্রথমে অনুবাদ করে ও পরে নোটারি করে জমা দিতে হবে। আর বাংলাদেশে যদি বিবাহ হয়, সে ক্ষেত্রে ডিভোর্স সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিভোর্স সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
Q9: জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট করতে দিলে পাসপোর্ট হাতে পেতে কতদিন সময় লাগে? আর জরুরী পাসপোর্ট করার কোন সুযোগ আছে কিনা?
আমার এনরোলমেন্ট বা ডেলিভারি স্লিপে যে ডেলিভারির তারিখ উল্লেখ আছে, আমি কি সেই দিন পাসপোর্ট পাবো?
আমি পাসপোর্টের জন্য গত xx তারিখে জমা দিয়েছি। আমার পাসপোর্ট টা কি এসেছে?
বর্তমানে বিদেশস্থ কোন বাংলাদেশ দূতাবাসে জরুরিভিত্তিতে স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা চালু নেই। পাসপোর্ট এর আবেদন করার পরে নতুন পাসপোর্ট পেতে বর্তমানে ২০ দিন থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগছে। আপনার পাসপোর্ট-এর আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে তা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেই জানতে পারবেন। কিভাবে জানবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও রয়েছে তারই একটি ভিডিও লিঙ্ক নিম্নরূপঃ https://www.youtube.com/watch?v=hEVLlSKt5G4 যে তারিখ আপনার এনরোলমেন্ট স্লিপে উল্লেখ আছে, সেই তারিখটি মূলত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেহেতু পাসপোর্টগুলো বাংলাদেশ হতে প্রিন্ট হয়ে আসে তাই বিদেশস্থ মিশনগুলোতে সাধারণত এর চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগে।
Q10: বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট রি ইস্যু করার জন্য বাচ্চাকে দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে কিনা জানতে চাই?
বাচ্চার যদি প্রথম এমআরপি পাসপোর্ট করতে হয় এবং বাচ্চার বয়স যদি পাঁচ বছরের কম হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চাকে সাথে আনার প্রয়োজন নেই। বাচ্চাদের নতুন পাসপোর্ট করার নিয়মটি নতুন পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে করণীয় অধ্যায়ে বর্ণিত আছে। আর বাচ্চার বয়স যদি ৫ বছরের অধিক হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। তাই বাচ্চার বয়স পূর্ণ পাঁচ বছর বা তার অধিক হলে তাকে অবশ্যই দূতাবাসে আসতে হবে।
Q11: প্রথমবার পাসপোর্ট করার সময় তো বাচ্চাকে নিয়ে আসিনি। তাহলে এখন কেন আনতে হবে?
তখন আপনার বাচ্চার বয়স পাঁচ বছরের কম ছিল, তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক ছিল না। এখন পাঁচ বছরের বেশি হওয়াতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া অত্যাবশ্যকীয়।
Q12: আমার পাসপোর্ট এর ছবি পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে কিনা?
আপনার পাসপোর্টের ছবির সাথে বর্তমান চেহারার পার্থক্য যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে দূতাবাসে এসে ছবি পরিবর্তন করা উচিত। মনে রাখবেন, পূর্ণ পাঁচ বছর বা তার অধিক থেকে বিশ বছর বয়স্কদের ক্ষেত্রে দূতাবাসে এসে ছবি তোলা বাধ্যতামূলক।
Q13: বিশেষ প্রয়োজনে আমার বর্তমান পাসপোর্টটি দূতাবাসে জমা রাখা সম্ভব নয় অথবা আমি পাসপোর্ট-এর আবেদনের সময় আমার বর্তমান পাসপোর্টটি জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন জরুরী প্রয়োজনে তা আমি ফেরত চাই। এমতাবস্থায় আমি কি করবো?
আপনি আপনার জমাকৃত পাসপোর্টটি জরুরী প্রয়োজনে ফেরত নিতে চাইলে দূতাবাসে সশরীরে এসে আবেদন করতে পারেন। আর যদি ডাকযোগে ফেরত চান সেক্ষেত্রে আপনি দুইটি ফিরতি খাম সম্বলিত লেটার প্যাক আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, যেখানে প্রথমটি দিয়ে আমরা আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি আপনাকে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করব। তবে মনে রাখবেন, নতুন পাসপোর্ট নেয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে পুরনো পাসপোর্টটি দূতাবাসে পুনরায় জমা দিতে হবে কেননা নতুন পাসপোর্ট দেয়ার সাথে সাথে আপনার পুরনো পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করা বাধ্যতামূলক। তাই আপনার প্রয়োজন শেষে আপনার পাসপোর্টটি পুনরায় আমাদের নিকট পাঠিয়ে দিন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নতুন এবং পুরানো দুটো পাসপোর্ট আপনাকে আপনার দেয়া দ্বিতীয় খামে ফেরত পাঠিয়ে দিব।
Q14: আমার কোন ইমেইল এড্রেস নেই অথবা আমি ইমেইল ব্যবহার করতে পারি না, সেক্ষেত্রে ডেলিভারি স্লিপটি আমি কিভাবে পেতে পারি ?
যেকোন ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইমেইলে যোগাযোগ করা সবচেয়ে উত্তম, কেননা এতে আপনার ডেলিভারি স্লিপ বা অন্যান্য ডকুমেন্ট সংরক্ষিত থাকে। আমরা অনেক সময়ই আবেদনকারীর কাছ থেকে জানতে পারি যে, তিনি তার ডেলিভারি স্লিপ-এর কাগজটি হারিয়ে ফেলেছেন বা খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সকল ক্ষেত্রে তার পাসপোর্ট এর আবেদন খুঁজে পেতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ হচ্ছে, আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করতে নাও পারেন আপনার যে বন্ধু বা নিকট আত্মীয় ব্যবহার করে তার ইমেইল এড্রেসটি আমাদের দিন; আর একান্তই অপারগ হলে আপনি ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ একটি ফেরত খাম আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। উক্ত খামে আমরা আপনার পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার একটি প্রাথমিক ডেলিভারি স্লিপ আপনার কাছে পাঠিয়ে দিব যা আপনি স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে পুনরায় পাঠিয়ে দিলে আমরা আপনার পাসপোর্ট-এর এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করে ঢাকায় প্রিন্টিং এর জন্য পাঠিয়ে দিব। ফেরত দেয়ার পূর্বে অবশ্যই ডেলিভারি স্লিপের ছবি তুলে আপনার সংরক্ষনে রাখুন। দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ consular.bdembjp@mofa.gov.bd
Q15: আমি চাকরি জনিত কারণে কাজের দিন গুলোতে ছুটি পাই না। আমি কি কোন বন্ধের দিনে দূতাবাসে আমার পাসপোর্ট-এর কাজে আসতে পারি? দূতাবাস কি খোলা আছে?
জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট এবং কনস্যুলার সেবা সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিমাসের প্রথম রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে । সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসের প্রথম রবিবারে একসাথে অনেক মানুষের ভিড় হয়। সে ক্ষেত্রে সেবা প্রদান দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। তাই আরো একটি বিকল্প পন্থার কথা আমরা আপনাকে জানাতে চাইঃ লক্ষ্য করে দেখুন, বাংলাদেশ দূতাবাসের বাৎসরিক ছুটির দিনগুলো আর আপনার/জাপানের ছুটির দিনগুলো সব ক্ষেত্রে এক নয়। প্রথমেই জেনে নিন 2025 সালে দূতাবাস কোন কোন দিন বন্ধ থাকবেঃ
এই তালিকাটি থেকে জানা যাচ্ছে যে, অনেকগুলো দিন আছে যেদিন জাপানে পাবলিক হলিডে কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা। তাই আপনার দূতাবাসে আসার জন্য এই দিনগুলো খুবই সুবিধাজনক। তবে, দুতাবাসে আসার পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করে আসার জন্য অনুরোধ করা গেলো।
|
|
|
|
এর বাহিরেও জাপানে বিভিন্ন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি গোল্ডেন উইক, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, এবং ওবোন হলিডেস ইত্যাদি সময় বন্ধ থাকে, কিন্তু এ সময়গুলোতেও দূতাবাস প্রায়ক্ষেত্রে খোলা থাকে। তাই আপনার এ বছরের ছুটির সাথে দূতাবাসের বন্ধের তালিকা মিলিয়ে নোট করে নিন কোন দিনগুলো আপনার বন্ধ আর দূতাবাস খোলা। ঐদিন গুলোতেই আপনি দূতাবাসে আপনার পাসপোর্ট বা কন্সুলার সেবার জন্য চলে আসতে পারেন।
Q16: আমি এম্বাসির ঠিকানা জানতে চাই? বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে হলে আমি কোন স্টেশন এ আসবো বা স্টেশনের কোন গেট দিয়ে বের হব?
আপনার মোবাইলে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে সহজেই দূতাবাসে পৌঁছানোর উপায় জানতে পারবেন https://goo.gl/maps/KGnqHGD2uFofng2N6
আর আপনি যদি অফলাইনে থাকেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না জানেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে নাগাতাচো স্টেশন (Nagatacho Station) অথবা কোজিমাচি স্টেশন (Kojimachi Station) এর যেকোনো একটি স্টেশনে নেমে হেঁটে আসতে হবে। নাগাতাচো স্টেশনে নামলে 9A or 9B গেট দিয়ে বের হবেন আর কোজিমাচি স্টেশন দিয়ে বের হলে Exit Gate 1 ব্যবহার করলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে।
Q17: আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতিপূর্বে দূতাবাস থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন পাসপোর্ট এর আবেদনের সময় সেটার কপি আমার পুনরায় প্রয়োজন। আমাকে কি করতে হবে?
আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ২৫০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
Q18: আমি ডাকযোগে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট এর আবেদন একসাথে পাঠাতে পারবো কিনা?
দুটো আবেদন আপনি ডাকযোগে একসাথে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও আমাদের পরামর্শ হল দুটো কাজ আলাদা আলাদা করা। কেননা এতে ভুল-ত্রুটি হয় না। দুটো আবেদন একসাথে পাঠালে প্রথমে আমাদেরকে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। তারপরে পাসপোর্ট এর প্রসেস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটে ভুল ত্রুটি হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই আপনি প্রথমে জন্ম নিবন্ধন এর কাজ সম্পন্ন করুন তারপরে পাসপোর্টের আবেদন আলাদাভাবে পাঠান। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
Q19: আমার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ** তারিখে শেষ হতে যাচ্ছে বা শেষ হয়ে গেছে। আমাকে কত দিনের ভিতর পাসপোর্ট রি ইস্যু করার আবেদন করতে হবে?
পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন করার কোনো সুনির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি যখন ইচ্ছা সেটা করতে পারেন; আপনার পাসপোর্ট-এর মেয়াদ থাকুক আর নাই থাকুক। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, আপনি পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য এমন সময় বেছে নিন, যেসময় পাসপোর্টটি আপনার কোন কাজে লাগবে না বা আপনার দেশে যাবার কোন পরিকল্পনা নেই। আমরা অনেক সময়ই আবেদন গ্রহণের সময় শুনতে শুনতে পাই যে, আবেদনকারীর দেশে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বা টিকিট কেটে ফেলেছেন, তাই পাসপোর্টটি জরুরিভাবে দরকার ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর- এই ৫ বছরের ভেতরে যে কোন সময় আপনি পাসপোর্টের আবেদন করতে করতে পারেন। আবার ৫ বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও যেকোনো সময় সেটা করতে পারবেন। অনুগ্রহ করে আপনি এমন কোন সময় বেছে নিবেন না যখন পাসপোর্টটি আপনার প্রয়োজন হবে। সহজ কথায়, দূতাবাসে পাসপোর্টের আবেদন করতে আসলে, অন্তত দেড় মাস সময় পাসপোর্ট দূতাবাসে জমা রাখার প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে আপনি আবেদনের সময় নির্বাচন করুন।
পাসপোর্টে তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রশ্নসমুহ
Q20: বর্তমান পাসপোর্টে আমার নিজের নাম/বাবার নাম/মায়ের নাম/স্থায়ী ঠিকানা/জন্ম তারিখ ভুল আছে বা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। উক্ত সংশোধনের জন্য আমাকে কি করতে হবে?
আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের ভিতর কম গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য যেমন বর্তমান ঠিকানা ফোন নাম্বার, পেশা, ইমারজেন্সি অ্যাড্রেস ইত্যাদি পরিবর্তন করা তুলনামূলক সহজ এবং দূতাবাস তা করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আপনার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করতে চান, সেটা দূতাবাসে করা খুবই জটিল এবং সময় সাপেক্ষ বিষয়। আমাদের পরামর্শ হল, পাসপোর্টে পরিবর্তন করা প্রয়োজন হলে সেটা আপনি দেশ থেকে করা শ্রেয়। আপনার যদি আগামীতে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে যখন দেশে যাবেন তখন দেশ থেকে এই কাজটি করিয়ে নিবেন মর্মে এখনই পরিকল্পনা করে নিন। আর একান্তই যদি দূতাবাস থেকে করাতে চান, সেক্ষেত্রে আবেদনের সময় আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আপনার পাসপোর্টের কোন তথ্যে পরিবর্তন আনতে চাইলে রি-ইস্যু ফর্মে তা উল্লেখ করুন এবং তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করুন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বলতে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জায়রো কার্ডের কপি সংযুক্ত করুন। একই সাথে বাংলাদেশ থেকে কোন নোটারি পাবলিক থেকে এফিডেভিট করিয়ে তা প্রথমে নোটারাইজড করতে হবে, অতঃপর আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে সর্বশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে তার একটি কপি আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, এ জাতীয় পরিবর্তন পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন হওয়ায় পাসপোর্ট পেতে সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি স্লিপ এর কপি নিয়ে আপনার কোন প্রতিনিধি ঢাকার আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে।
Q21: আমি পূর্বের জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টটি এই দূতাবাস থেকেই করিয়েছিলাম। এখন এই জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট এর কোন তথ্য পরিবর্তন করতে কেন আমাকে বাংলাদেশ থেকে এফিডেভিট করে নিয়ে আসতে হবে?
আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টে কোন তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে এফিডেভিট জমা দেয়া আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক বিধায় বাংলাদেশ থেকে করিয়ে আনতে হয়।
Q22: ৫ থেকে ২০ বছর বয়সী বাচ্চাদের পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার আবেদনের সাথে কি বাবা-মায়ের ছবি দিতে হবে?
প্রয়োজন নেই। ৫ থেকে ২০ বছর বয়সী বাচ্চাদের পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে শুধু আবেদনকারীর এক কপি ছবি দিলেই যথেষ্ট।