Q1-আমার বাচ্চা জাপানে জন্মগ্রহণ করেছে। আমি তার নতুন পাসপোর্ট করাতে চাই। এক্ষেত্রে আমাকে কি কি করতে হবে?
প্রথমেই আপনার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশ হতে সংগ্রহ করুন বাংলাদেশ দূতাবাস হতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে চাইলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে জেনে নিন আপনাকে কি কি করতে হবেঃ Online Birth Registration Guideline মনে রাখা ভাল যে, বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট করতে সাধারণত ৭ থেকে ১০ কর্মদিবস সময় লেগে থাকে। যদি আপনি অনলাইনে আবেদন পূরণ করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগবে। অতঃপর আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করুনঃ http://www.passport.gov.bd অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে যখন পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হবে, তখন স্কিপ পেমেন্ট (Skip Payment) বক্সটি ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান; কেননা পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আলাদা ভাবে আপনার কাছ থেকে ব্যাংক ট্রান্সফারের অরিজিনাল রশিদ সরাসরি বা ডাক মারফতে জমা নিব। ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে তার এক কপি প্রিন্ট করে নিন। সেইসাথে, যদি কোন কারনে ৪ পাতার নতুন পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম প্রিন্ট করতে না পারেন সেক্ষেত্রে উক্ত পাসপোর্ট আবেদন ফর্মটি ডাইনলোড করে হাতে লিখে জমা দিবেন। সেখানে বাচ্চার পাসপোর্ট সাইজের (৩০*৪০ মিলিমিটার অথবা ৩৫*৪৫ মিলিমিটার) অথবা আপনার সুবিধাজনক যেকোন সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি সংযুক্ত করুন। ছবি তোলার সময় চশমা, সাদা শার্ট, ফেন্সি টুপি, কপালে নজর টিপ, বা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় জিনিস পরিহার করুন। একই ছবির একটি বড় ছবি টু এল (2L) সাইজ অথবা ১২*১৮ সেন্টিমিটার সাইজের ছবি সংযুক্ত করুন। এই ছবি থেকেই মূল পাসপোর্ট এর ছবি নেয়া হবে, তাই ছবিটি অবশ্যই যথাযথ এবং সর্বোচ্চ রেজোল্যুশন বা মেগাপিক্সেলের হতে হবে। ছবিটি পোর্ট্রেট (portrait) ধরনের হবে, চোখ খোলা থাকবে, দুটো কান যথাসম্ভব দৃশ্যমান হতে হবে, মাথার উপরে এবং মুখমন্ডলের উভয় পাশে খালি জায়গা থাকবে, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে। পিতা-মাতার উভয়েরই ২৫*৩৫ মিলিমিটার সাইজের ছবি আবেদনপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় আঠা দিয়ে সংযুক্ত করুন। এই পাসপোর্ট ফর্মের কোথাও কোন সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। অতঃপর নিন্মোক্ত ডকুমেন্টসমুহ সংযুক্ত করুনঃ
ক) বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশ হতে সংগৃহীত জন্ম নিবন্ধন সনদ
খ) জাপানি জন্ম সনদের ফটোকপি এবং জুমিন ইয়োর অরিজিনাল কপি। যদি আপনি বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে থাকেন, তাহলে জাপানি জন্ম সনদ সংযুক্ত করার প্রয়োজন নেই।
গ) বাচ্চা, বাবা এবং মায়ের জাপানি জাইরো কার্ডের উভয় পৃষ্ঠার ফটোকপি জমা দিন।
ঘ) মাতা ও পিতার পাসপোর্ট এর কপি সংযুক্ত করুন
ঙ) ১৮,০০০ (18,000) বা ফুরিকমি করুন। অতঃপর ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট-এর একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন। প্রি-স্কুল/কিন্ডারগার্টেন/চাইল্ড কেয়ার কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট আপনার স্টুডেন্ট এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না; এসকল ক্ষেত্রেও আপনাকে ১৮,০০০ ইয়েন দিতে হবে।
চ) আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পোস্ট কোডসহ পুরো ঠিকানা, বাসা কিংবা কর্মক্ষেত্রের টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি একটি সাদা কাগজে প্রিন্ট আকারে অথবা পরিষ্কার অক্ষরে লিখে জমা দিন। এই কাগজের নিচে আপনার স্বাক্ষর প্রদান করুন।
Q2: আমি ডাকযোগে আমার পাসপোর্টের আবেদন পাঠাতে বা ফেরত পেতে পারবো কিনা?
ডাকযোগে আপনার আবেদন দূতাবাসে পাঠাতে চাইলে, আবেদন পত্রের সাথে একটি ফিরতি খাম লেটার প্যাক সংযুক্ত করতে হবে যা আপনি আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিস অথবা ফ্যামিলি মার্ট বা সেভেন এলেভেন থেকে ক্রয় করতে পারবেন। নমুনা খামের একটি ছবি নিচের লিংকে সংযুক্ত করা হলোঃ
এটি একটি লাল বর্ডার যুক্ত এলপি লেটার প্যাক যার মুল্য ৫২০ ইয়েন। উক্ত খামের উপর আপনার পোস্ট কোড সহ পূর্ণ ঠিকানা, নাম ও ফোন নাম্বার লিখে নিন। লেটার প্যাকটি পাঠানোর পূর্বে লেটার প্যাকের উপরের পৃষ্ঠার একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন এবং এই লেটার প্যাক এর উপরে একটি ট্রাকিং নাম্বার দেয়া আছে যা দিয়ে আপনি সহজেই জানতে পারবেন আপনার লেটার প্যাকটি দূতাবাসে পৌঁছেছে কিনা বা আপনার প্রেরিত লেটার প্যাকটি বর্তমানে কোথায় আছে তা ট্র্যাকিং করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ https://www.post.japanpost.jp/index_en.html ডাকযোগে প্রেরণের ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সমূহের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হলে দূতাবাস দায়ী থাকবেনা মর্মে আপনার স্বাক্ষর সহ একটি সাদা কাগজে আবেদন সংযুক্ত করুন। অপর একটি সাদা কাগজে বা ঐ কাগজে আপনার মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল এড্রেস (স্পষ্টভাবে)অবশ্যই লিখবেন যেন আমরা আপনাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। মনে রাখবেন, একটি লেটার প্যাক এ শুধু ০১ (এক) জনের পাসপোর্ট পাঠানো যাবে; তাই আবেদনকারীর সংখ্যা এক জনের বেশি হলে একাধিক (প্রয়োজনমতো) লেটার প্যাক সংযুক্ত করুন। আপনার প্রেরিত প্রতিটি খামের একটি ছবি তুলে আপনার সংরক্ষণে রাখুন। আর আপনার ই-মেইল এড্রেস না থাকলে ¥৮৪ ইয়েন অথবা তদূর্দ্ধ ডাকটিকেট সম্বলিত একটি খাম পাঠাবেন যেন আমরা ডেলিভারি স্লিপের কপি আপনার কাছে পাঠাতে পারি। খামের উপরে অবশ্যই পোষ্টকোড সহ আপনার বাসার পূর্ণ ঠিকানা এবং ফোন নম্বর উল্লেখ করবেন।
ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি কোথায় এবং কিভাবে করব?
Account Name |
Embassy of Bangladesh Tokyo Consular |
Bank Name |
Mitsubishi UFJ Bank (MUFJ) |
Branch Name |
Kojimachi(Code: 616) |
Type of account |
Ordinary Bank Account (Futsuu) |
Account No. |
0393471 |
উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা দানের পর টাকা জমা দেয়ার ডিপোজিট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন এবং একটি ফটোকপি আপনি নিজের কাছে রেখে দিন। একই সাথে, আপনার পাসবুক আপডেট বা হালনাগাদ করুন এবং দূতাবাসে স্বশরীরে আসার সময় পাস বইটিও সঙ্গে নিয়ে আসুন। ** সকল কাগজপত্র অবশ্যই A4 সাইজ কাগজে জমা দিন। কোন দলিল (যেমন, বিয়ের সনদ বা হলফনামা ইত্যাদি) যদি আকারের বড় হয় সেক্ষেত্রে Percentage কমিয়ে A4 সাইজ কাগজে ফটোকপি করে জমা দিন। সকল কাগজপত্র পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে। উপরোক্ত আবেদন এবং ডকুমেন্ট সমূহ পাওয়ার পরে প্রাথমিকভাবে আমরা একটি এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব এবং একটি ডেলিভারি স্লিপ আপনার প্রয়োজনীয় স্বাক্ষরের জন্য আপনার ইমেইলে স্ক্যান করে পাঠিয়ে দিব। ডাকযোগেও পাঠানো সম্ভব যদি আপনি ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ আলাদা আরেকটি ফেরত খাম দেন। অতঃপর ডেলিভারি স্লিপটি প্রিন্ট আউট করে স্বাক্ষর করে, স্ক্যান করে ইমেইলে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। আপনার স্বাক্ষরিত কাগজটি পেলেই আমরা অবশিষ্ট কয়েকটি পর্যায়ের কাজ শেষ করে ঢাকায় পাসপোর্ট প্রিন্ট এর জন্য প্রেরণ করব। দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ consular.bdembjp@mofa.gov.bd
Q3: আমার কোন ইমেইল এড্রেস নেই অথবা আমি ইমেইল ব্যবহার করতে পারি না, সেক্ষেত্রে ডেলিভারি স্লিপটি আমি কিভাবে পেতে পারি ?
যেকোন ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইমেইলে যোগাযোগ করা সবচেয়ে উত্তম, কেননা এতে আপনার ডেলিভারি স্লিপ বা অন্যান্য ডকুমেন্ট সংরক্ষিত থাকে। আমরা অনেক সময়ই আবেদনকারীর কাছ থেকে জানতে পারি যে, তিনি তার ডেলিভারি স্লিপ-এর কাগজটি হারিয়ে ফেলেছেন বা খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সকল ক্ষেত্রে তার পাসপোর্ট এর আবেদন খুঁজে পেতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ হচ্ছে, আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করতে নাও পারেন আপনার যে বন্ধু বা নিকট আত্মীয় ব্যবহার করে তার ইমেইল এড্রেসটি আমাদের দিন; আর একান্তই অপারগ হলে আপনি ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ একটি ফেরত খাম আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। উক্ত খামে আমরা আপনার পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার একটি প্রাথমিক ডেলিভারি স্লিপ আপনার কাছে পাঠিয়ে দিব যা আপনি স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে পুনরায় পাঠিয়ে দিলে আমরা আপনার পাসপোর্ট-এর এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করে ঢাকায় প্রিন্টিং এর জন্য পাঠিয়ে দিব। ফেরত দেয়ার পূর্বে অবশ্যই ডেলিভারি স্লিপের ছবি তুলে আপনার সংরক্ষনে রাখুন। দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ consular.bdembjp@mofa.gov.bd
Q4: আমি এম্বাসির ঠিকানা জানতে চাই? বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে হলে আমি কোন স্টেশন এ আসবো বা স্টেশনের কোন গেট দিয়ে বের হব?
আপনার মোবাইলে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে সহজেই দূতাবাসে পৌঁছানোর উপায় জানতে পারবেন link আর আপনি যদি অফলাইনে থাকেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না জানেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে নাগাতাচো স্টেশন (Nagatacho Station) অথবা কোজিমাচি স্টেশন (Kojimachi Station) এর যেকোনো একটি স্টেশনে নেমে হেঁটে আসতে হবে। নাগাতাচো স্টেশনে নামলে 9A or 9B গেট দিয়ে বের হবেন আর কোজিমাচি স্টেশন দিয়ে বের হলে Exit Gate 1 ব্যবহার করলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে।
Q5: আমি চাকরি জনিত কারণে কাজের দিন গুলোতে ছুটি পাই না। আমি কি কোন বন্ধের দিনে দূতাবাসে আমার জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজে আসতে পারি? দূতাবাস কি খোলা আছে?
জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট এবং কনস্যুলার সেবা সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিমাসের প্রথম রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে । সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসের প্রথম রবিবারে একসাথে অনেক মানুষের ভিড় হয়। সে ক্ষেত্রে সেবা প্রদান দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। তাই আরো একটি বিকল্প পন্থার কথা আমরা আপনাকে জানাতে চাইঃ লক্ষ্য করে দেখুন, বাংলাদেশ দূতাবাসের বাৎসরিক ছুটির দিনগুলো আর আপনার/জাপানের ছুটির দিনগুলো সব ক্ষেত্রে এক নয়। প্রথমেই জেনে নিন 2025 সালে দূতাবাস কোন কোন দিন বন্ধ থাকবেঃ
ঐ তালিকাটি থেকে জানা যাবে যে, অনেকগুলো দিন আছে যেদিন জাপানে পাবলিক হলিডে কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা। তাই আপনার দূতাবাসে আসার জন্য এই দিনগুলো খুবই সুবিধাজনক। তবে, দুতাবাসে আসার পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করে আসার জন্য অনুরোধ করা গেলো।
|
এর বাহিরেও জাপানে বিভিন্ন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি গোল্ডেন উইক, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, এবং ওবোন হলিডেস ইত্যাদি সময় বন্ধ থাকে, কিন্তু এ সময়গুলোতেও দূতাবাস প্রায়ক্ষেত্রে খোলা থাকে। তাই আপনার এ বছরের ছুটির সাথে দূতাবাসের বন্ধের তালিকা মিলিয়ে নোট করে নিন কোন দিনগুলো আপনার বন্ধ আর দূতাবাস খোলা। ঐদিন গুলোতেই আপনি দূতাবাসে আপনার পাসপোর্ট বা কন্সুলার সেবার জন্য চলে আসতে পারেন।
Q6: আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতোপূর্বে দূতাবাস থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন পাসপোর্ট এর আবেদনের সময় সেটার কপি আমার পুনরায় প্রয়োজন। আমাকে কি করতে হবে?
আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ২৫০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
Q7: আমি দূতাবাস হতে ইতোপূর্বে জন্ম নিবন্ধন সনদ করিয়েছি। এখন সেই জন্ম নিবন্ধন সনদে কিছু তথ্য পরিবর্তন করতে চাই। আমাকে কি করতে হবে?
আপনি আপনার পাসপোর্ট-এর কপি, জায়রো কার্ডের কপি ও পূর্বের জন্ম নিবন্ধন সনদ-এর কপি সহ সাদা কাগজে আবেদন করুন। আপনি কি কি পরিবর্তন চান তা আপনার আবেদনে বিস্তারিত লিখুন এবং তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করুন। একই সাথে বাংলাদেশ হতে একটি এফিডেভিট করে সেটি নোটারাইজড করে প্রথমে আইন মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে দূতাবাসে জমা দিন। সেই সাথে ৫০০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব। আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
Q8: আমি ডাকযোগে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট এর আবেদন একসাথে পাঠাতে পারবো কিনা?
দুটো আবেদন আপনি ডাকযোগে একসাথে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও আমাদের পরামর্শ হল আলাদাভাবে প্রেরন করা কেননা দুটো কাজ আমাদের আলাদা আলাদা করতে হয় এবং এতে ভুল-ত্রুটি হয় না। দুটো আবেদন একসাথে পাঠালে প্রথমে আমাদেরকে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। তারপরে পাসপোর্ট এর প্রসেস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটে ভুল ত্রুটি হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই আপনি প্রথমে জন্ম নিবন্ধন এর কাজ সম্পন্ন করুন তারপরে পাসপোর্টের আবেদন আলাদাভাবে পাঠান। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
Q9: আমি অনলাইনে আবেদন করতে পারছিনা; এখন আমি কি করব?
অনলাইনে না পারলে হার্ড কপির উপর হাতে লিখেও ফর্ম পূরণ করা যায়; তবে সেক্ষেত্রে অনেক ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে এবং তা সময় সাপেক্ষ বিষয় কেননা আপনার তথ্য সমূহকে আমাদের ম্যানুয়ালি টাইপ করে দিতে হয়। মনে রাখবেন পাসপোর্ট যেহেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং এর তথ্য সমূহ নির্ভূল হওয়া খুবই জরুরী তাই আপনি নিজে সময় নিয়ে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজে পূরণ করুন আর আপনার পক্ষে অনলাইনে ফরম পূরণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের সহযোগিতা নিন। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
Q10: বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য বাচ্চাকে দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে কিনা জানতে চাই?
বাচ্চার যদি প্রথম এমআরপি পাসপোর্ট করতে হয় এবং বাচ্চার বয়স যদি পাঁচ বছরের কম হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চাকে সাথে আনার প্রয়োজন নেই। আর বাচ্চার বয়স যদি ৫ বছরের অধিক হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। তাই বাচ্চার বয়স পূর্ণ পাঁচ বছর বা তার অধিক হলে তাকে অবশ্যই দূতাবাসে আসতে হবে।
Q11: প্রথমবার পাসপোর্ট করার সময় তো বাচ্চাকে নিয়ে আসিনি। তাহলে এখন কেন আনতে হবে?
তখন আপনার বাচ্চার বয়স পাঁচ বছরের কম ছিল, তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক ছিল না। এখন পাঁচ বছরের বেশি হওয়াতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।
Q12: জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট করতে দিলে পাসপোর্ট হাতে পেতে কতদিন সময় লাগে? আর জরুরী পাসপোর্ট করার কোন সুযোগ আছে কিনা?
আমার এনরোলমেন্ট বা ডেলিভারি স্লিপে যে ডেলিভারির তারিখ উল্লেখ আছে, আমি কি সেই দিন পাসপোর্ট পাবো?
আমি পাসপোর্টের জন্য গত xx তারিখে জমা দিয়েছি। আমার পাসপোর্ট টা কি এসেছে?
বর্তমানে বিদেশস্থ কোন বাংলাদেশ দূতাবাসে জরুরিভিত্তিতে স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা চালু নেই। পাসপোর্ট এর আবেদন করার পরে নতুন পাসপোর্ট পেতে বর্তমানে ২০ দিন থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগছে। আপনার পাসপোর্ট-এর আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে তা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেই জানতে পারবেন। কিভাবে জানবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও রয়েছে তারই একটি ভিডিও লিঙ্ক নিম্নরূপঃ https://www.youtube.com/watch?v=hEVLlSKt5G4 যে তারিখ আপনার এনরোলমেন্ট স্লিপে উল্লেখ আছে, সেই তারিখটি মূলত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিদেশস্থ মিশনগুলোতে সাধারণত এর চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগে।