নতুন পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রশ্নসমুহ
Q1: আমার এতদিন কোন ডিজিটাল এমআরপি পাসপোর্ট ছিল না। শুধুমাত্র হাতের লেখা পাসপোর্ট ছিল। আমি এখন ডিজিটাল বা এমআরপি পাসপোর্ট করতে চাই। আমার কি করনীয়?
প্রথমেই আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করুনঃ http://www.passport.gov.bd/ অনলাইনে কিভাবে পাসপোর্ট এর ফরম পূরণ করতে হয় তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে দেয়া আছে তার মধ্য থেকে একটি ভিডিও আমরা আপনার সহজে বোঝার জন্য শেয়ার করছিঃ https://www.youtube.com/watch?v=aTSy1oJPhzs অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে যখন পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হবে, তখন স্কিপ পেমেন্ট (Skip Payment) বক্সটি ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান; কেননা পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আলাদা ভাবে আপনার কাছ থেকে ব্যাংক ট্রান্সফারের রশিদ সরাসরি বা ডাক মারফতে জমা নিব। ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে তার এক কপি প্রিন্ট করে নিন এবং সেখানে আপনার পাসপোর্ট সাইজের অথবা আপনার সুবিধাজনক যেকোন সাইজের ছবি সংযুক্ত করুন। এই পাসপোর্ট ফর্মের কোথাও কোন সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। অতঃপর নিন্মোক্ত ডকুমেন্টসমুহ সংযুক্ত করুনঃ ক) আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অথবা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র/ভোটার আইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে) মনে রাখবেন, আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অবশ্যই অনলাইন ভেরিফাইড হতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অনলাইনে কিভাবে ভেরিফাই করতে হয়, তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে আছে। তার মধ্য থেকে আমরা একটি ভিডিও নিচের লিংকে শেয়ার করছি, যাতে করে কাজটি করা আপনার জন্য সহজ হয়ঃ
https://www.youtube.com/watch?v=DTqQ6OM5IeE&t=27s ভেরিফিকেশন পেইজের একটি প্রিন্টেড কপি আপনার আবেদন এর সাথে যুক্ত করুন। আর আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের তথ্যাবলী যদি অনলাইনে দেখা না যায়, তাহলে যেখান থেকে এই জন্ম নিবন্ধন সনদ করিয়েছিলেন সেই দপ্তরে যোগাযোগ করার মাধ্যমে অনলাইনে যেন তথ্য প্রদর্শিত হয় সেই ব্যবস্থা নিন।
Q2: অনেকে জানতে চান যে, আমার জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। সেটি আমি দূতাবাস থেকে করাতে পারবো কিনা?
আপনার জন্ম যদি জাপানে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে জাপান দূতাবাস থেকে জন্ম সনদ নেয়া যাবে। আর জন্ম যদি জাপানে না হয় সে ক্ষেত্রে তা দেশ থেকে করানো উত্তম। বাংলাদেশ দূতাবাস হতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে চাইলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে জেনে নিন আপনাকে কি কি করতে হবেঃ online birth registration/ মনে রাখা ভাল যে, বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট করতে সাধারণত ৩ থেকে ৫ কর্মদিবস সময় লেগে থাকে। যদি আপনি অনলাইনে আবেদন পূরণ করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগবে।
খ) আপনার পূর্বের হাতের লেখা পাসপোর্ট এর প্রথম ছয় পৃষ্ঠার ফটোকপি ও মূল পাসপোর্টঃ মনে রাখবেন, আপনার হাতের লেখা পাসপোর্ট বা পুরোনো পাসপোর্ট-এর সাথে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট-এর প্রদত্ত তথ্য সমূহ অবশ্যই অভিন্ন হতে হবে। হাতের লেখা পাসপোর্টের কোন তথ্যের পরিবর্তন বা সংশোধন থাকলে, জন্ম নিবন্ধন সনদে সেই সংশোধন বা পরিবর্তন করতে হবে এবং বাংলাদেশ হতে একটি এফিডেভিট করে প্রথমে নোটারাইজড করে পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে সেই কপিটি আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড থাকে সেক্ষেত্রেও অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে।
গ) জাইরো কার্ডের কপি
ঘ) আপনার স্বামী বা স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে নিয়ে আসতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে। ঙ) আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি (উভয় পার্শ্ব এক পৃষ্ঠায়); সেক্ষেত্রে, ৬,০০০ (6000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত অন্য সকলের ক্ষেত্রে ১৮,০০০ (18,000) বা ফুরিকমি করুন। অতঃপর ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট-এর একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন।
চ) আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পোস্ট কোডসহ পুরো ঠিকানা, বাসা কিংবা কর্মক্ষেত্রের টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি একটি সাদা কাগজে প্রিন্ট আকারে অথবা পরিষ্কার অক্ষরে লিখে জমা দিন। এই কাগজের নিচে আপনার স্বাক্ষর প্রদান করুন। ** আপনার বয়স যদি পাঁচ বছর কিংবা তদূর্ধ্ব হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দূতাবাসের সশরীরে এসে বায়োমেট্রিক এবং ছবি তুলতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আপনি চাইলে ৫২০ ইয়েন মুল্যের খাম দূতাবাসে জমা দিতে পারবেন যেটা দিয়ে আমরা আপনার পাসপোর্টটি প্রিন্ট হয়ে আসলে আপনার নিকট পাঠিয়ে দিব।
** যারা দূতাবাসে এসে তাদের নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন, তাদের পুরনো পাসপোর্ট দূতাবাসে জমা রাখা হবে না। নতুন পাসপোর্ট যখন নিতে আসবেন, তখন পুরাতন পাসপোর্ট এবং ডেলিভারি স্লিপ সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আমরা আপনার নতুন পাসপোর্টটি ইস্যু করব এবং পুরাতন পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করে একসাথে আপনাকে ফেরত দিব। সকল কাগজপত্র অবশ্যই A4 সাইজ কাগজে জমা দিন। কোন দলিল (যেমন, বিয়ের সনদ বা হলফনামা ইত্যাদি) যদি আকারের বড় হয় সেক্ষেত্রে percentage কমিয়ে A4 সাইজ কাগজে ফটোকপি করে জমা দিন। সকল কাগজপত্র পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, নতুন পাসপোর্টের আবেদনটি পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন হওয়ায় পাসপোর্ট পেতে সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি স্লিপ এর কপি নিয়ে আপনার কোন প্রতিনিধি ঢাকার আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে।
Q3: আমি অনলাইনে আবেদন করতে পারছিনা; এখন আমি কি করব?
অনলাইনে না পারলে হার্ড কপির উপর হাতে লিখেও ফর্ম পূরণ করা যায়; তবে সেক্ষেত্রে অনেক ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে এবং তা সময় সাপেক্ষ বিষয় কেননা আপনার তথ্য সমূহকে আমাদের ম্যানুয়ালি টাইপ করে দিতে হয়। মনে রাখবেন পাসপোর্ট যেহেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং এর তথ্য সমূহ নির্ভূল হওয়া খুবই জরুরী তাই আপনি নিজে সময় নিয়ে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজে পূরণ করুন আর আপনার পক্ষে অনলাইনে ফরম পূরণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের সহযোগিতা নিন। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি কোথায়, কত ইয়েন এবং কিভাবে করব?
Account Name |
Embassy of Bangladesh Tokyo Consular |
Bank Name |
Mitsubishi UFJ Bank (MUFJ) |
Branch Name |
Kojimachi(Code: 616) |
Type of account |
Ordinary Bank Account (Futsuu) |
Account No. |
0393471 |
উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা দানের পর টাকা জমা দেয়ার ডিপোজিট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন এবং একটি ফটোকপি আপনি নিজের কাছে রেখে দিন। একই সাথে, আপনার পাসবুক আপডেট বা হালনাগাদ করুন এবং দূতাবাসে স্বশরীরে আসার সময় পাস বইটিও সঙ্গে নিয়ে আসুন। আপনি যদি স্টুডেন্ট হন (বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনিস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি জমাদান সাপেক্ষে) ৬,০০০ (6000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত সকলের ক্ষেত্রে ১৮,০০০ (18,000) বা ফুরিকমি করুন। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকলে এবং জাপানে সাময়িক সময়ের জন্য পিএইচডি/মাস্টার্স/উচ্চশিক্ষা/প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আসলে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ১৮,০০০ ইয়েন প্রদান করতে হবে। অফিশিয়াল পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে কোন ফি প্রদান এর প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে আপনার ভ্যালিড জিও কপি সংযুক্ত করুন।
নতুন পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রশ্নসমুহ
Q1: আমার এতদিন কোন ডিজিটাল এমআরপি পাসপোর্ট ছিল না। শুধুমাত্র হাতের লেখা পাসপোর্ট ছিল। আমি এখন ডিজিটাল বা এমআরপি পাসপোর্ট করতে চাই। আমার কি করনীয়?
প্রথমেই আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করুনঃ http://www.passport.gov.bd/ অনলাইনে কিভাবে পাসপোর্ট এর ফরম পূরণ করতে হয় তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে দেয়া আছে তার মধ্য থেকে একটি ভিডিও আমরা আপনার সহজে বোঝার জন্য শেয়ার করছিঃ https://www.youtube.com/watch?v=aTSy1oJPhzs অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে যখন পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হবে, তখন স্কিপ পেমেন্ট (Skip Payment) বক্সটি ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান; কেননা পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আলাদা ভাবে আপনার কাছ থেকে ব্যাংক ট্রান্সফারের রশিদ সরাসরি বা ডাক মারফতে জমা নিব। ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে তার এক কপি প্রিন্ট করে নিন এবং সেখানে আপনার পাসপোর্ট সাইজের অথবা আপনার সুবিধাজনক যেকোন সাইজের ছবি সংযুক্ত করুন। এই পাসপোর্ট ফর্মের কোথাও কোন সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। অতঃপর নিন্মোক্ত ডকুমেন্টসমুহ সংযুক্ত করুনঃ ক) আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অথবা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র/ভোটার আইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে) মনে রাখবেন, আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অবশ্যই অনলাইন ভেরিফাইড হতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অনলাইনে কিভাবে ভেরিফাই করতে হয়, তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে আছে। তার মধ্য থেকে আমরা একটি ভিডিও নিচের লিংকে শেয়ার করছি, যাতে করে কাজটি করা আপনার জন্য সহজ হয়ঃ
https://www.youtube.com/watch?v=DTqQ6OM5IeE&t=27s ভেরিফিকেশন পেইজের একটি প্রিন্টেড কপি আপনার আবেদন এর সাথে যুক্ত করুন। আর আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের তথ্যাবলী যদি অনলাইনে দেখা না যায়, তাহলে যেখান থেকে এই জন্ম নিবন্ধন সনদ করিয়েছিলেন সেই দপ্তরে যোগাযোগ করার মাধ্যমে অনলাইনে যেন তথ্য প্রদর্শিত হয় সেই ব্যবস্থা নিন।
Q2: অনেকে জানতে চান যে, আমার জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। সেটি আমি দূতাবাস থেকে করাতে পারবো কিনা?
আপনার জন্ম যদি জাপানে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে জাপান দূতাবাস থেকে জন্ম সনদ নেয়া যাবে। আর জন্ম যদি জাপানে না হয় সে ক্ষেত্রে তা দেশ থেকে করানো উত্তম। বাংলাদেশ দূতাবাস হতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে চাইলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে জেনে নিন আপনাকে কি কি করতে হবেঃ online birth registration/ মনে রাখা ভাল যে, বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট করতে সাধারণত ৩ থেকে ৫ কর্মদিবস সময় লেগে থাকে। যদি আপনি অনলাইনে আবেদন পূরণ করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগবে।
খ) আপনার পূর্বের হাতের লেখা পাসপোর্ট এর প্রথম ছয় পৃষ্ঠার ফটোকপি ও মূল পাসপোর্টঃ মনে রাখবেন, আপনার হাতের লেখা পাসপোর্ট বা পুরোনো পাসপোর্ট-এর সাথে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট-এর প্রদত্ত তথ্য সমূহ অবশ্যই অভিন্ন হতে হবে। হাতের লেখা পাসপোর্টের কোন তথ্যের পরিবর্তন বা সংশোধন থাকলে, জন্ম নিবন্ধন সনদে সেই সংশোধন বা পরিবর্তন করতে হবে এবং বাংলাদেশ হতে একটি এফিডেভিট করে প্রথমে নোটারাইজড করে পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে সেই কপিটি আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড থাকে সেক্ষেত্রেও অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে।
গ) জাইরো কার্ডের কপি
ঘ) আপনার স্বামী বা স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে নিয়ে আসতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে। ঙ) আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি (উভয় পার্শ্ব এক পৃষ্ঠায়); সেক্ষেত্রে, ৬,০০০ (6000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত অন্য সকলের ক্ষেত্রে ১৮,০০০ (18,000) বা ফুরিকমি করুন। অতঃপর ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট-এর একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন।
চ) আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পোস্ট কোডসহ পুরো ঠিকানা, বাসা কিংবা কর্মক্ষেত্রের টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি একটি সাদা কাগজে প্রিন্ট আকারে অথবা পরিষ্কার অক্ষরে লিখে জমা দিন। এই কাগজের নিচে আপনার স্বাক্ষর প্রদান করুন। ** আপনার বয়স যদি পাঁচ বছর কিংবা তদূর্ধ্ব হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দূতাবাসের সশরীরে এসে বায়োমেট্রিক এবং ছবি তুলতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আপনি চাইলে ৫২০ ইয়েন মুল্যের খাম দূতাবাসে জমা দিতে পারবেন যেটা দিয়ে আমরা আপনার পাসপোর্টটি প্রিন্ট হয়ে আসলে আপনার নিকট পাঠিয়ে দিব।
** যারা দূতাবাসে এসে তাদের নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন, তাদের পুরনো পাসপোর্ট দূতাবাসে জমা রাখা হবে না। নতুন পাসপোর্ট যখন নিতে আসবেন, তখন পুরাতন পাসপোর্ট এবং ডেলিভারি স্লিপ সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আমরা আপনার নতুন পাসপোর্টটি ইস্যু করব এবং পুরাতন পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করে একসাথে আপনাকে ফেরত দিব। সকল কাগজপত্র অবশ্যই A4 সাইজ কাগজে জমা দিন। কোন দলিল (যেমন, বিয়ের সনদ বা হলফনামা ইত্যাদি) যদি আকারের বড় হয় সেক্ষেত্রে percentage কমিয়ে A4 সাইজ কাগজে ফটোকপি করে জমা দিন। সকল কাগজপত্র পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, নতুন পাসপোর্টের আবেদনটি পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন হওয়ায় পাসপোর্ট পেতে সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি স্লিপ এর কপি নিয়ে আপনার কোন প্রতিনিধি ঢাকার আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে।
Q3:আমি অনলাইনে আবেদন করতে পারছিনা; এখন আমি কি করব?
অনলাইনে না পারলে হার্ড কপির উপর হাতে লিখেও ফর্ম পূরণ করা যায়; তবে সেক্ষেত্রে অনেক ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে এবং তা সময় সাপেক্ষ বিষয় কেননা আপনার তথ্য সমূহকে আমাদের ম্যানুয়ালি টাইপ করে দিতে হয়। মনে রাখবেন পাসপোর্ট যেহেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং এর তথ্য সমূহ নির্ভূল হওয়া খুবই জরুরী তাই আপনি নিজে সময় নিয়ে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজে পূরণ করুন আর আপনার পক্ষে অনলাইনে ফরম পূরণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের সহযোগিতা নিন। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
Q4: ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি কোথায়, কত ইয়েন এবং কিভাবে করব?
Account Name |
Embassy of Bangladesh Tokyo Consular |
Bank Name |
Mitsubishi UFJ Bank (MUFJ) |
Branch Name |
Kojimachi(Code: 616) |
Type of account |
Ordinary Bank Account (Futsuu) |
Account No. |
0393471 |
উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা দানের পর টাকা জমা দেয়ার ডিপোজিট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন এবং একটি ফটোকপি আপনি নিজের কাছে রেখে দিন। একই সাথে, আপনার পাসবুক আপডেট বা হালনাগাদ করুন এবং দূতাবাসে স্বশরীরে আসার সময় পাস বইটিও সঙ্গে নিয়ে আসুন। আপনি যদি স্টুডেন্ট হন (বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনিস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি জমাদান সাপেক্ষে) ৬,০০০ (6000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত সকলের ক্ষেত্রে ১৮,০০০ (18,000) বা ফুরিকমি করুন। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকলে এবং জাপানে সাময়িক সময়ের জন্য পিএইচডি/মাস্টার্স/উচ্চশিক্ষা/প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আসলে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ১৮,০০০ ইয়েন প্রদান করতে হবে। অফিশিয়াল পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে কোন ফি প্রদান এর প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে আপনার ভ্যালিড জিও কপি সংযুক্ত করুন।
Q5: আমার কোন ইমেইল এড্রেস নেই অথবা আমি ইমেইল ব্যবহার করতে পারি না, সেক্ষেত্রে ডেলিভারি স্লিপটি আমি কিভাবে পেতে পারি ?
যেকোন ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইমেইলে যোগাযোগ করা সবচেয়ে উত্তম, কেননা এতে আপনার ডেলিভারি স্লিপ বা অন্যান্য ডকুমেন্ট সংরক্ষিত থাকে। আমরা অনেক সময়ই আবেদনকারীর কাছ থেকে জানতে পারি যে, তিনি তার ডেলিভারি স্লিপ-এর কাগজটি হারিয়ে ফেলেছেন বা খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সকল ক্ষেত্রে তার পাসপোর্ট এর আবেদন খুঁজে পেতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ হচ্ছে, আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করতে নাও পারেন আপনার যে বন্ধু বা নিকট আত্মীয় ব্যবহার করে তার ইমেইল এড্রেসটি আমাদের দিন; আর একান্তই অপারগ হলে আপনি ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ একটি ফেরত খাম আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। উক্ত খামে আমরা আপনার পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার একটি প্রাথমিক ডেলিভারি স্লিপ আপনার কাছে পাঠিয়ে দিব যা আপনি স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে পুনরায় পাঠিয়ে দিলে আমরা আপনার পাসপোর্ট-এর এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করে ঢাকায় প্রিন্টিং এর জন্য পাঠিয়ে দিব। দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ consular.bdembjp@mofa.gov.bd
Q6: আমি চাকরি জনিত কারণে কাজের দিন গুলোতে ছুটি পাই না। আমি কি কোন বন্ধের দিনে দূতাবাসে আমার জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজে আসতে পারি? দূতাবাস কি খোলা আছে?
জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট এবং কনস্যুলার সেবা সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিমাসের প্রথম রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে । সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসের প্রথম রবিবারে একসাথে অনেক মানুষের ভিড় হয়। সে ক্ষেত্রে সেবা প্রদান দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। তাই আরো একটি বিকল্প পন্থার কথা আমরা আপনাকে জানাতে চাইঃ লক্ষ্য করে দেখুন, বাংলাদেশ দূতাবাসের বাৎসরিক ছুটির দিনগুলো আর আপনার/জাপানের ছুটির দিনগুলো সব ক্ষেত্রে এক নয়। প্রথমেই জেনে নিন 2025 সালে দূতাবাস কোন কোন দিন বন্ধ থাকবেঃ
ঐ তালিকাটি থেকে জানা যাবে যে, অনেকগুলো দিন আছে যেদিন জাপানে পাবলিক হলিডে কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা। তাই আপনার দূতাবাসে আসার জন্য এই দিনগুলো খুবই সুবিধাজনক। তবে, দুতাবাসে আসার পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করে আসার জন্য অনুরোধ করা গেলো। এর বাহিরেও জাপানে বিভিন্ন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি গোল্ডেন উইক, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, এবং ওবোন হলিডেস ইত্যাদি সময় বন্ধ থাকে, কিন্তু এ সময়গুলোতেও দূতাবাস প্রায়ক্ষেত্রে খোলা থাকে। তাই আপনার এ বছরের ছুটির সাথে দূতাবাসের বন্ধের তালিকা মিলিয়ে নোট করে নিন কোন দিনগুলো আপনার বন্ধ আর দূতাবাস খোলা। ঐদিন গুলোতেই আপনি দূতাবাসে আপনার পাসপোর্ট বা কন্সুলার সেবার জন্য চলে আসতে পারেন।
Q7: আমি এম্বাসির ঠিকানা জানতে চাই? বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে হলে আমি কোন স্টেশন এ আসবো বা স্টেশনের কোন গেট দিয়ে বের হব
আপনার মোবাইলে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে সহজেই দূতাবাসে পৌঁছানোর উপায় জানতে পারবেন link
আর আপনি যদি অফলাইনে থাকেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না জানেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে নাগাতাচো স্টেশন (Nagatacho Station) অথবা কোজিমাচি স্টেশন (Kojimachi Station) এর যেকোনো একটি স্টেশনে নেমে হেঁটে আসতে হবে। নাগাতাচো স্টেশনে নামলে 9A or 9B গেট দিয়ে বের হবেন আর কোজিমাচি স্টেশন দিয়ে বের হলে Exit Gate 1 ব্যবহার করলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে।
Q8: আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতিপূর্বে দূতাবাস থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন পাসপোর্ট এর আবেদনের সময় সেটার কপি আমার পুনরায় প্রয়োজন। আমাকে কি করতে হবে?
আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ২৫০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ¥৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
Q9: জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট করতে দিলে পাসপোর্ট হাতে পেতে কতদিন সময় লাগে? আর জরুরী পাসপোর্ট করার কোন সুযোগ আছে কিনা?
আমার এনরোলমেন্ট বা ডেলিভারি স্লিপে যে ডেলিভারির তারিখ উল্লেখ আছে, আমি কি সেই দিন পাসপোর্ট পাবো?
আমি পাসপোর্টের জন্য গত xx তারিখে জমা দিয়েছি। আমার পাসপোর্ট টা কি এসেছে?
বর্তমানে বিদেশস্থ কোন বাংলাদেশ দূতাবাসে জরুরিভিত্তিতে স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা চালু নেই। পাসপোর্ট এর আবেদন করার পরে নতুন পাসপোর্ট পেতে বর্তমানে ২০ দিন থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগছে। আপনার পাসপোর্ট-এর আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে তা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেই জানতে পারবেন। কিভাবে জানবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও রয়েছে তারই একটি ভিডিও লিঙ্ক নিম্নরূপঃ https://www.youtube.com/watch?v=hEVLlSKt5G4 যে তারিখ আপনার এনরোলমেন্ট স্লিপে উল্লেখ আছে, সেই তারিখটি মূলত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিদেশস্থ মিশনগুলোতে সাধারণত এর চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগে।
Q10: আমি নতুন বিবাহ করেছি; তাই আমার পাসপোর্টে আমার ম্যারিটাল স্ট্যাটাস এবং স্বামী/স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করতে চাই, এক্ষেত্রে আমাকে কি করতে হবে?
আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি জাপানে থাকেন তাহলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট, সিটি অফিস থেকে ইস্যুকৃত জুমিন ইয়ো, স্বামী বা স্ত্রীর পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জাইরো কার্ড এর কপি দিতে হবে। আর আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি জাপানে না থাকে, তাহলে আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে নিয়ে আসতে হবে এবং স্বামী বা স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র/ভোটার আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
Q11: আমার ডিভোর্স বা তালাক সংক্রান্ত কারণে স্বামী বা স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করতে চাই অথবা ম্যারিটাল স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে চাই। এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়?
আপনার বিবাহ জাপানে হয়ে থাকলে সিটি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিভোর্স সার্টিফিকেট প্রথমে অনুবাদ করে ও পরে নোটারি করে জমা দিতে হবে। আর বাংলাদেশে যদি বিবাহ হয়, সে ক্ষেত্রে ডিভোর্স সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিভোর্স সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
Q12: আবেদনে ছবির সাইজ কেমন হবে এবং ছবির পিছনে স্বাক্ষর বা সত্যায়িত করা লাগবে কিনা?
আবেদনের সময় ছবির সুনির্দিষ্ট কোন সাইজ প্রয়োজন নেই; তবে পাসপোর্ট সাইজের অর্থাৎ ৩০*৪০ mm অথবা ৩৫*৪৫ mm সাইজের ছবি হলে ভালো হয়। ছবির পিছনে স্বাক্ষর অথবা সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
Q13: আমার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড আছে, সেক্ষেত্রে কি আমাকে স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট (Student Enrolment Certificate) দিতে হবে
জি হ্যাঁ। স্টুডেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট (Student Enrolment Certificate) জমা দিতে হবে এই স্টুডেন্ট সার্টিফিকেটটি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত হতে হবে। প্রি-স্কুল/কিন্ডারগার্টেন/চাইল্ড কেয়ার কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট আপনার স্টুডেন্ট এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না; এসকল ক্ষেত্রে আপনাকে ১৮,০০০ ইয়েন দিতে হবে।
Q14: বিশেষ প্রয়োজনে আমার বর্তমান হাতের লেখা পাসপোর্টটি দূতাবাসে জমা রাখা সম্ভব নয় অথবা আমি পাসপোর্ট-এর আবেদনের সময় আমার বর্তমান পাসপোর্টটি জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন জরুরী প্রয়োজনে তা আমি ফেরত চাই। এমতাবস্থায় আমি কি করবো?
আপনি আপনার জমাকৃত পাসপোর্টটি জরুরী প্রয়োজনে ফেরত নিতে চাইলে দূতাবাসে সশরীরে এসে আবেদন করতে পারেন। আর যদি ডাকযোগে ফেরত চাইলে সেক্ষেত্রে আপনি দুইটি ফিরতি খাম সম্বলিত লেটার প্যাক আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, যেখানে প্রথমটি দিয়ে আমরা আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি আপনাকে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করব। তবে মনে রাখবেন, নতুন পাসপোর্ট নেয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে পুরনো পাসপোর্টটি দূতাবাসে পুনরায় জমা দিতে হবে কেননা নতুন পাসপোর্ট দেয়ার সাথে সাথে আপনার পুরনো পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করা বাধ্যতামূলক। তাই আপনার প্রয়োজন শেষে আপনার পাসপোর্টটি পুনরায় আমাদের নিকট পাঠিয়ে দিন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নতুন এবং পুরানো দুটো পাসপোর্ট আপনাকে আপনার দেয়া দ্বিতীয় খামে ফেরত পাঠিয়ে দিব।